নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত একমাত্র সন্তানের রক্তের জন্য প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ছবি ও ভিডিও ফেসবুক ও স্বামীসহ আত্মীয়স্বজনদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ ও টাকাপয়সা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় এক যুবক। প্রবাসীর স্ত্রীর মামলার ভিত্তিতে সেনবাগ থানার এসআই বদিউল আলম ওই প্রতারককে উপজেলার ডমুরুয়া চৌমোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার ডমরুয়া ইউনিয়নের ডমুরুয়া গ্রামের মুজিবুর হক মিয়ার বাড়ির মুজিবুল হকের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বুলেট।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রীর একমাত্র সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এ কারণে তাকে প্রতি মাসে রক্ত দিয়ে হয়। গিয়াস উদ্দিনের রক্তের গ্রুপ ওই শিশুর সঙ্গে মিলে যাওয়ায় রক্ত দেওয়ার সুবাদে তার মায়ের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। এতে গিয়াস উদ্দিন ভিডিও কলে কথা বলে ভুক্তভোগী নারীর শরীরের গোপন অঙ্গগুলো ভিডিও ধারণ করে। এদিকে একপর্যায়ে ভিডিও ও ছবি ফেসবুক এবং তার প্রবাসী স্বামীসহ আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে নগদ এক লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে ফের ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং কয়েকটি ব্যাংকের স্বাক্ষর করা সাদা চেক নিয়ে যায়।
এদিকে সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন জানান, ভুক্তভোগী নারী গত রোববার রাতে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান