সত্য প্রকাশে বিড়ম্বনা আছে কিন্তু শত বাঁধা অতিক্রম করে হলেও বিজয়ী হয় সত্যটি তা যত দেরীতেই হউক। সে কারনেই মিথ্যা নির্ভর রাজনীতি বিপদজনক। রাজনীতির মিথ্যা প্রকাশ পেলে দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। তেমনটাই ঘটেছে বি এন পি’র এখন। দলটির জন্ম হয়েছিল সামরিক সদরে। সামরিক শাসন জারি করে জনগনের মূখ স্তব্ধ করে রেখেছিল। ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দলছুট নেতা দিয়ে দল গঠন করেছিল বি এন পি। দল বানিয়ে শুরু করেছে ইতিহাস বদল আর জিয়া বন্দনা। বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বানিয়ে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে দিয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের প্রয়াস চালিয়েছে। ক্ষমতা স্থায়ী করতে নির্বিচারে মূক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে আর প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বাধীনতার শত্রু জামাতকে। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে মৌলবাদকে উস্কে দিয়েছে। রাজনীতির প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতকে।
বেগম জিয়াও সেই ধারা অব্যাহত রেখে ধোঁকাবাজী করেছে জনতার সাথে। মিথ্যা জন্মদিন থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে মিথ্যাচার করেছে। এতিমের অর্থ আত্নসাত করতেও কুন্ঠা বোধ করেনি। পদ্মা সেতুর নির্মান বন্ধ করতে বিদেশী দালাল নিয়োগ দিয়েছে বলেছে আওয়ামী লীগ সরকার এই সেতু নির্মান করতে পারবে না। জোড়াতালি দিয়ে সেতু নির্মান করলেও রিস্ক আছে। বেগম জিয়ার এই বক্তব্য শুনে দলের কর্মী সমর্থকরা নৃত্য করে উল্লাস করেছে। দুর্নীতির কথা বলে বিশ্বব্যংকের কাছ থেকে পাওয়া ঋনের টাকা ফেরৎ পাঠিয়ে উল্লাস করেছে আবারও। এখন দাবী করে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে খালেদা জিয়া। চীনের কাছ থেকে বেশী সূদে অর্থ এনে পদ্মা সেতু নির্মান করে অর্থ লুট করেছে সরকার। সেতু নির্মানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলের মহাসচিব। দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে বলে মিথ্যাচার করছে নেতারা। দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি বলে বক্তৃতা করছে প্রতিদিন।এখন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা দাবী করছে দলটি। সেই দাবীতেও সত্যতা নেই। কখনো বলছে তত্বাবধায়ক সরকার চাই আবার কখনো বলছে জাতীয় সরকার। জনগনকে ধোঁকা দিতে সরকার পতনের হুঙ্কার দিয়ে নিজেরাই নিস্প্রাভ হয়ে পরে। কারন তাদের বক্তব্যে সত্যতা নেই। অসত্য বক্তব্যের কারনে জনগনের সমর্থন হারিয়েছে দলটি। দলটির কর্মকান্ডের কিছু কেবল উল্লেখ করা হয়েছে। এখন জনগনই বিচার করবে বি এন পি’র কোন দাবীটি সত্য। রাজনৈতিক দলের অসত্য বক্তব্য বিপদ ডেকে আনে। ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় দেশ এবং দল।সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় রাজনীতিটি।