দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে মার্কীনি আধিপত্য দুর্বল হয়ে পরেছে। আফগানিস্থান থেকে শর্থহীন বিদায় এবং পাকিস্তানে এমরান খানের জনসমর্থন ওয়াশিংটনকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারতের মোদি সরকার ওয়াশিংটনের প্রতি কিছুটা ঝুঁকেও ইউক্রেন যূদ্ধ তা বদলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে চাইবে আমেরিকা। হাসিনা সরকার যথেষ্ঠ সচেতন কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে আমেরিকার এজেন্ট বহু। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই এজেন্টরা তৎপর হতে শুরু করবে। যে কারনে সরকারের সামনে দুটি বিপদ (১) আমেরিকার কুট চাল মোকাবেলা করা এবং (২) এজেন্টদের প্রতি নজর রাখা। দেশে কোন শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ নেই। কিন্তু মার্কীনি কুট চাল দেশের রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে। কেউ কেউ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করলেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবেনা। জুজুর ভয় দেখিয়ে এই এজেন্টরা বি এন পি’কে উষ্কে দিতে চাইছে। কিন্তু বি এন পি নিজেদের কারনেই এখন ভঙ্গুর দল। এই দলেও আমেরিকার এজেন্ট নেই বলা যাবেনা। সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরী।
বিদেশে জামাত-বি এন পি’র মদদপুষ্ট প্রচারনা এখন দুর্বল হয়ে গেছে তবে, থেমে যায়নি। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে অপশক্তিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশ থেকে পালিয়ে আসা দুর্বিত্ত্বরা নির্বাচনকে টার্গেট করে অর্থ লগ্নি করছে তারেকের পিছে। নির্বাচনে বিজয় নয় এখন দেশে একটা গন্ডগোল বাঁধানোই তাদের মূল লক্ষ্য। দেশের গোয়েন্দা বাহিনীসহ পুলিশের প্রতিটি স্তরে শতর্কতা জরুরী। এখন সরকারের যে কোন ভুল সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতির চিত্র বদলে দিতে পারে। সরকার সচেতন রয়েছে তবে আরও শতর্কতা জরুরী।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।