টিকটক, কেওয়াই, শেয়ারইট, ইউসি লাইভ, বিগোলাইভ। এমন বেশকিছু অ্যাপের সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত। চীনা এই অ্যাপগুলো নিয়ে সম্প্রতি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এসব অ্যাপ আসলে কী নিরাপদ? প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো ‘ভয়ঙ্কর’। সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দারা চীনের এমন ৪১টি অ্যাপ নিয়ে সতর্ক করেছেন দেশটির জনগণকে। সতর্ক করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা দফতরও। স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার রয়েছে এই অ্যাপগুলোতে, তাই সামরিক দফতরের কর্মীদেরও উইচ্যাটের মতো কোনও অ্যাপ ফোনে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওয়ান্ডার ক্যামেরা, ক্লিন মাস্টার, বাইডু অ্যাপের মতো সুবিধাজনক অ্যাপে আপত্তি রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে দেশের তথ্য বাইরে পাচার হয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগও নাকি এসেছে, বলা হয়েছিল দেশটির বিবৃতিতে।চিনের তৈরি বিপজ্জনক অ্যাপের তালিকায় রয়েছে ৩৬০ সিকিউরিটি অ্যাপও। এই অ্যাপটি রয়েছে অনেকের মোবাইলেই। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ছাড়াও এটি স্পিড বুস্টারও বটে। ইউসি ব্রাউজার, বিউটি প্লাস, নিউজ ডগ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে বাউডু ট্রান্সলেটের মতো জরুরি অ্যাপও। মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করা যায় এতে। ডিইউ ব্রাউজার অ্যাপ বেশ সুবিধাজনক একটি ব্রাউজার। গুগলের মতো না হলেও যথেষ্ট সুবিধাজনক এই অ্যাপটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। ডিইউ প্রাইভেসি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অ্যাপ লক করে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এটিতেও ‘রেড মার্ক’ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিভা ভিডিয়োকিউ, প্যারালাল স্পেস, এপিইউএস ব্রাউজারের মতোই ডিইউ রেকর্ডারের নামও রয়েছে এই তালিকায়। অথচ মাত্র এক ক্লিকেই রেকর্ড করে নেয়ার সুবিধা রয়েছে এতে। পারফেক্স কর্প, ভল্ট হাইড, ইউক্যাম মেক-আপের মতো ফোটো ওয়ান্ডার অ্যাপ নিয়েও রয়েছে সতর্কতা। ফোটো ওয়ান্ডার অ্যাপ থাকলে নিমেষে একটা সাধারণ ছবিও হয়ে ওঠে অসাধারণ। ভাইরাস ক্লিনার, সিএম ব্রাউজার, শাওমি কমিউনিটি, ইএস ফাইল এক্সপ্লোরারের মতো অ্যাপ্লিকেশন ফোনে থাকলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমনটাও বলা হয়েছিল একটি বিবৃতিতে। সেলফি সিটি, ক্যাশে ক্লিয়ার, ডিইউ অ্যাপ স্টুডিয়ো, ডিইউ ব্যাটারি সেভার এই সবকটি অ্যাপের নামই রয়েছে ‘ডেঞ্জারাস অ্যাপ’-এর তালিকায়।