স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সামনে রেখে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চৌকি, বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে কর্মরতরা বলছেন, ক্ষুদে বার্তা ও ঘোষণার মাধ্যমে জঙ্গি হামলার শঙ্কার খবর দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে তাদেরকে।
সড়কের মোড়ে মোড়ে চৌকি বসিয়ে এমন নিরাপত্তা তল্লাশি করতে দেখা যায় কূটনৈতিক এলাকা রাজনীতির গুলশানে। অফিস ফেরত যাত্রীরাও ছিল তটস্থ। তারা বলছেন, নিরাপত্তার শঙ্কা থেকেই তাদেরকে আগেভাগে অফিস ছাড়তে বলা হয়েছে।
বেসরকারি একটি অফিসের এক কর্মী বলেন, এইচআর থেকে জানতে পারলাম যে, রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই কারণে চলে যেতে বলেছে।
আরেকজন বলেন, অফিস থেকে জানানো হয়েছে নিরাপত্তার শঙ্কা আছে। সবাই যেনো সময়মতো বাসায় চলে যায়।
কর্মীদের সতর্ক করে দেশি বিদেশি দাতাসংস্থা, নামী ক্লাব, রেস্টুরেন্টের এমন ক্ষুদে বার্তা সংবাদমাধ্যমের হাতেও এসেছে। রেস্তোরা ও বিনোকেন্দ্রগুলোতেও স্বাভাবিকের চেয়ে কম চাপ ছিল অন্য দিনের তুলনায়।
গুলশান এলাকার এক রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব যে নিরাপত্তা রক্ষীরা আছে তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং যে সকল গ্রাহক আসছেন তাদের ব্যাগগুলো ভালো করে চেক করা হচ্ছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মিন্টু রোডসহ অভিজাত এলাকাগুলোর মতো বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও ছিল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। তবে এ সতর্কতার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী।
গুলশান এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের চেকপোস্ট আমাদের প্রায়ই থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই চেকপোস্ট।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, এক সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডে একটা ঘটনা ঘটেছে। আর আমাদের দেশে একদিন পর মহান স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন যাতে কেউ ম্লান করতে না পারে সেজন্য গুলশান এলাকায় আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশে বাড়ানো হবে এ সতর্কতা।