প্রতারক সাহেদ ধরা পরেছে এটি ভাল সংবাদ, দুঃসংবাদটি হলো প্রতারকরা আওয়ামী লীগের মধ্যে ঢুকে পরেছে। বার বার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে দুর্নীতি আর সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া যাচ্ছে অনেকের। দলের হাইকমান্ড এসব প্রতারকদের বহিষ্কার করার কথা বললেও সম্ভব হয়ে উঠেনি। এই না পারাটাই এখন ভাবনার কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকার পরিচালনায় সাফল্য দেখালেও এইসব সাহেদদের কারনে দলের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ত্যগী নেতা-কর্মীরা অবহেলিত, কৌশলিরাই নিরাপদে তাই অসন্তোষ ফুঁসে উঠছে সবখানে। প্রাক্তন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহাম্মেদ একটি বই লিখেছেন। সেই বইতে একটি কথা লিখেছেন ” বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়”। মইন ইউ আহাম্মদের সেই উক্তিটি এখন সত্য প্রমানীত হচ্ছে। দেশ এখন শুধুমাত্র শেখ হাসিনাই চালাচ্ছেন। দেশের মানূষও শেখ হাসিনাকেই ভরসা করে। সাহেদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই এসেছে। বিগত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অপেক্ষাকৃত তরুনদের আনা হয়েছিল। প্রত্যাশা ছিল তরুনরা দলকে গতিশীল করবে কিন্তু, সেই প্রত্যাশাটি পুরন হয়েছে মনে হয়না। বরং বহু আলোচনার জন্মদিয়েছে নেতারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধনাঢ্য ব্যক্তি, তার অর্থলোভ বিশ্বাস করা যায়না কিন্তু, তার বক্তব্য নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক অনাভিজ্ঞতাই এর কারনে। সাহেদের মত একজন প্রতারক সর্ব্বোচ্চ মহলে ঢুকে পরা সহজ নয়, নিশ্চই কারো সহযোগিতা ছিল। এই সহোযোগিদের খুঁজে বের করাই এখন করনীয়। পত্রিকায় প্রায়ই লেখা পড়ি ” আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ” বি এন পি নয়। বি এন পি এখন একটি নিষ্কৃয় দল, তাদের সাংগঠনিক সমর্থ নেই আন্দোলনে যাওয়ার। আওয়ামী লীগের নেতাদের ভুল সিদ্ধান্তকে পুজি করে বি এন পি এখন সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সফল হয়নি বলা যাবেনা। ভার্চুয়াল মিডিয়াতে এখন আলোচনা হয় প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে। এসব আলোচনার উৎসটি আমরা জানি কিন্তু, মানূষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এই আলোচনা শুনে। দলের অনুমুতি ছাড়া দলের মূখপত্র হয়ে নেতারা যা বলেন তা অনেক ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্যও হয়না। বিষয়টি এখন ৭৩, ৭৪ সালের মত মনে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের উচিত এখনই সাবধান হওয়া। সরকারের সাফল্য বহু কিন্ত, তা প্রচার করার মত নেতা যেমন দলে নেই গনমাধ্যমও তা প্রচার করেনা। ১০ দিন ধরে সাহেদকে নিয়ে গনমাধ্যমের ব্যস্ততা দেখে মনে হয় যেন, সাহেদকে ধরলেই সব ঠিক হয়ে যাবে! সাহেদ উপখ্যান আসলে মানূষের দৃষ্টিকে সরকারের বিরুদ্ধে নেওয়ার চেষ্টা বলে মনে হয়। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মানব জীবনের অভিষাপ হয়ে চেপে বসেছে। কোন দেশই করোনা মুক্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বন্যা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। সাহেদের মত এমন চুনাপুটিকে ধরে মূল হোতাদের সরিয়ে রাখা হলে দেশ বিপর্যয়ের মূখে পরবে। একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন নেতাটি আছেন যে জনগনকে নিয়ে ভাবেন? আওয়ামী লীগ জনগনের দল, দেশের মানূষ এখন ভালভাবেই বুঝতে পারে ভরসাস্থল একটাই – শেখ হাসিনা। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই, সজাগ থাকতে হবে সকলকেই।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১৫ জুলাই ২০২০।