আপনি জানেন কি দিনের শুরুতে সকালে কিছু কাজের মাধ্যমে সহজেই নিজের ওজন কমাসহ নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। তবে অনেকে মনে করেন পরিশ্রম ছাড়া ওজন কমানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কে কতটা পরিশ্রমী, তার উপর নির্ভর করছে ওজন কত দ্রুত কমবে। ডায়েট, শরীরচর্চা, বাইরের খাবার না খাওয়া-ওজন কমানোর প্রাথমিক শর্ত এগুলোই। তবে এগুলো ছাড়াও ওজন ঝরানোর আরো বেশ কিছু পথ রয়েছে। এজন্য দিনের শুরুতেই করতে হবে পাঁচটি কাজ।
আসুন জেনে নিই কাজগুলো-
এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পানঃ ওজন কমাতে পানি পান উপকারী। ‘জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক রিসার্চ’য়ে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে পানি পান করেন তাদের ‘বিএমআই ইন্ডেক্স’ কমে আসে। সুস্থ থাকতে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করা সবচেয়ে ভালো উপায়। ইয়ং ব্যাখ্যা করেন, “সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, তাই পানি পান জরুরি।” পানির স্বাদ বাড়তে চাইলে এতে সামান্য লেবুর রস বা পুদিনা যোগ করে নেয়া যায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তায় প্রোটিন ধরনের খাবার যেমন- ডিম, দই বা বাদামের মাখন ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। এতে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাছাড়া রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো বলে জানান, ইয়ং। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার এটা অন্যতম সহজ উপায়।
নাস্তায় ফল রাখাঃ সকালের নাস্তায় ফল রাখা ভালো। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশের ভালো উৎস। “অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি বাড়ানো ছাড়াই খাবারে বৈচিত্র্য আনতে পারে ফল”, বলেন, ইয়ং। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দৈনিক খাবার তালিকায় ৩০ গ্রাম আঁশ বৃদ্ধি করা রক্তচাপ কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবার তালিকায় আঁশের মাত্রা যত বেশি হবে ওজন হ্রাসের গতি তত দ্রুত হবে।
শস্য-জাতীয় খাবার খাওয়াঃ সব ধরনের কার্বহাইড্রেইট খারাপ এটা ভাবা ভুল। সকালের নাস্তায় অপ্রক্রিয়াজাত পূর্ণ শষ্য দিয়ে তৈরি খাবার রাখতে হবে। ইয়ং বলেন, “পূর্ণ শস্য দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- ওটস বা লাল আটার রুটিতে থাকে আঁশ ও পুষ্টি উপাদান, যা পেট ভরা রাখে। তাই অকারণেই কার্বোহাইড্রেইট’কে ভয় পাওয়া যাবে না।”
কিছুক্ষণ হাঁটা যাওয়াঃ সুস্থ থাকতে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে যাওয়া একটা ভালো কাজ। ওজন কমানোর পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা ও নির্ঝঞ্ঝাট রাখতে সকালের হাঁটা উপকারী। ইয়ং বলেন, “স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সকালে হাঁটা ওজন কমানোর স্বাস্থ্যকর উপায়।” হাঁটা ক্যালরি পোড়ায়, হাঁড় শক্ত রাখে এবং মন ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:২৯ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি