লিমন খান :: ঝালকাঠিতে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের বাগড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম সেলিমের স্ত্রী মোসা. ইয়াসমিন। মোসা. ইয়াসমিন ৮ জুলাই বেলা ১২ টার সময় ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। মোসা. ইয়াসমিনের ছেলে বাহাদুর হোসেন বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র, রাজাপুর সদরের বাগড়ী এলাকার ফোরক মেম্বরের ভাই ইলিয়াস সিকদার এর মেয়ে ইম্মি আক্তার এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ইয়াসমিনের ছেলে বাহাদুর, কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যায় তারা পরে এ বিষয়ে রাজাপুর থানায় অপহরন মামলা করেন ইম্মির বাবা ইলিয়াস সিকদার। মামলা নং-১১/১৩২(রাজা) যা পুলিশ তদন্ত করছেন। এমন সময় স্থানীয় এবং স্বজনদের মধ্যস্থতায় ইয়াসমিন তার ছেলেকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তাদের মেয়ে ইম্মিকে বিয়ে দেওয়ার শর্তে ফেরত দেয় ইলিয়াস সিকদারের কাছে। ইম্মির পিতা ইলিয়াস সিকদার তার ভাই ফোরক মেম্বরের সহযোগীতায় ১৯ জুন বাহাদুর ও ইম্মি পালিয়ে যাওয়ার পরই আক্রোশবসত গত ২০ জুন ইলিয়াস সিকদার তার ভাই ফোরক মেম্বরকে সাথে নিয়ে অন্যান্য ভাইদের সাথে নিয়ে ইয়াসমিনদের পরিবারের আয়ের উৎস রাজাপুর সদরে ধানশিঁড়ি হোটেলের সামনে থাকা রিয়া টেলিকমে তালাবদ্ধ করে দেয়। বর্তমানে ইয়াসমিনদের দিন কাটে না খেয়ে, এমনকি উক্ত ইলিয়াসদের অব্যহত হুমকির কারনে এলাকায় থাকতে পারছে না ইয়াসমিন ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসিকে জানালেও কোন ফল পায়নি ইয়াসমিনের পরিবার, ইয়াসমিনের ননদিয়াকে একা পেয়ে ইলিয়াস সিকদার তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা মারধর করে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরপেক্ষ হস্থক্ষেপ কামনা করেন ইয়াসমিন ও তার পরিবার। এদিকে ইলিয়াস সিকদারের মেয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্ধীতে বলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় বাহাদুরকে ভালবেসে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল এখানে বাহাদুর বা তাদের পরিবারের কারো কোন দোষত্রুটি নেই। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদ হোসেন মুঠোফোনে জানান, তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সহযোগীতা করা হবে যেহেতু তারা এতোদিন মামলা খেয়ে পলাতক ছিল বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসেছে জানতে পেরেছি। ইলিয়াস সিকদার জানান, তার মেয়ে ইম্মিকে নিয়ে বাহাদুর পালিয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষোভে ফেটে, পরে মামলা করেন আর কিছুই নয়।