মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউপির শিববাড়ি এলাকায় অবস্থিত ‘ব্র্যাক’ এনজিও শাখা অফিসে কর্মরত মাঠ কর্মী দুই সন্তানের জননী নাজমা খাতুন (৩২) নামের এক নারী গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে এখনো নিখোঁজ। আত্মীয়-স্বজন সবার বাড়ী খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার নারকেল তলা গ্রামের সোহেল আহমদ নিখোঁজ নাজমা খাতুনের স্বামী। সোহেল আহমদ বর্তমানে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের পশ্চিম মুসলিমবাগ (সুনগইর) তোহায়িদ ড্রাইভার এর বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং তিনি অসুস্থ প্যারালাইজড রোগি। তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে; মদিনা (৭) ও অপজনের নাম তানজিলা (৫)। মেয়েরা প্রতিনিয়ত মার জন্য কান্নাকাটি করছে। নাজমা’র স্বামী ও আত্মীয়-স্বজনের সূত্রের বরাতে জানা যায়,’ঘটনার দিন সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিনি ঘরে ফেরেননি’।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় ব্রাকের শাখা কর্মকর্তা মহসিন মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডির সূত্রানুসারে,গত ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় অফিস হতে বের হয়ে শিববাড়ী বস্তী, ভায়া পাড়া ও কালিঘাট এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা সংগ্রহ করে দুপুর ২ টায় আশিদ্রোন ইউনিয়নের শিববাড়ী শাখা অফিসে জমা দিয়ে আবার শিব বাড়ী বস্তি এলাকায় খেলাপি ঋণের সংগ্রহের কথা বলে চলে যান। সে সময় আনুমানিক বিকাল ৫ টার মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে সন্দেহ ঘনীভূত হলে খোঁজাখুঁজি করে শ্রীমঙ্গল থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নাম্বার-১৬৩, তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২ ইং শ্রীমঙ্গল থানা।
নাজমা আক্তার নিখোঁজের ব্যাপারে স্বজনরা কাউকে শনাক্ত করতে পারছেন না। এদিকে বাসায় অসুস্থ স্বামী ও দুটি শিশু সন্তান নিয়ে হতাশা ও আতঙ্কের মাঝে সময় অতিবাহিত করছেন।
অভিযোগ (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাকির (১) জানান,’গতকাল জিডি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি, সে সময় থেকেই তদন্ত কার্যক্রম চলছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠিয়েছি এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করতেছি’।
প্রতিবেশী ও ব্র্যাক অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের সাথে কথা বলে জানা যায় নাজমা খাতুন অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের একজন পরিশ্রমী নারী।