কার্তিকের শেষে পৌষের প্রথম দিনেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে মৌলভীবাজারের গ্রামাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায়। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে মৌলভীবাজারে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন থেকে এ অঞ্চলে ক্রমশ তাপমাত্রা নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে।
এদিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
শীত ও কনকনে হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছিন্নমুল ও শ্রমজিবী মানুষ। ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে কেনাকাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভীর বেড়েই চলেছে। হিম শীতল বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকে। এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে কৃষিকাজও চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম অনেক ফসলের। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
চা বাগানের চা শ্রমিক রাজু ও তার পরিবার বলেন খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র-বিছানা সব বরফ হয়ে গেছে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
চা দোকানদার বিক্রেতা অজয় বলেন, কয়েক দিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে এত শীত পড়েছে যে রাস্তা দেখায় যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর সমস্যা।
রাত্রি কালীন পাহাড়াদার ইরেশ বৌদ্ধ বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ আমাক কম্বল দেয়নি। কম্বলের খুব দরকার।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৩৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি