বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের আনন্দের একটি উৎসব হল “রথযাত্রা”। ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু ধর্মীয় উৎসব এটি। ভারতীয় রাজ্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা বসেছে।
এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে।
রোববার বিকেল ৩ টায় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শহর প্রদক্ষিণের শুভারম্ভ হয়। হাজারো নারী পুরুষের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন। পরে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রথযাত্রা নিয়ে সিলেট হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিগঞ্জ রোডস্থ জগন্নাথ দেবের আখরায় গিয়ে সমাপ্ত হয়।
রথযাত্রায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান রাজু দেব রিটন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি ডা: হরিপদ রায়,সহ সভাপতি শ্রী স্বপন রায়, পুজা উদযাপন পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি সুমন রায়, সাধারণ সম্পাদক ছোটন রায়সহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিমান ভূষণ রায়, সার্জেন্ট অমিতাভ চৌধুরী সহ থানা পুলিশের একটি দল। রথযাত্রা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বস্তুত পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে রথযাত্রার প্রচলন। পুরীতে রয়েছে জগন্নাথ বলরাম শুভ্রদার দারুমূর্তি। কিন্তু ধর্মমতে জগন্নাথ বিশ্ব প্রতিপালক বিষ্ণুর অবতার। হলধারী বলরাম তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও সুভ্রদা তাদের ভগ্নি। রথটানা হয় এই ত্রিমূর্তিকে নিয়ে। রথ টানায় সময় হাজার হাজার নর-নারীর উলুধ্বনি ও কলা, বাতাসা বিভিন্ন ফলফলাদি বিসর্জন এর মাধ্যমে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য; উপমহাদেশের প্রাচীনতম রথ ধামরাইয়ে বিগত চারশো বছর পুরনো অত্যন্ত সুন্দর জাঁকজমকপূর্ণ এবং এ নিয়ে অনেক খ্যাতিও রয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:২২ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ সোহেপ