মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে চারদিক। অন্যান্য দিনের তুলনায় বিকেল থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
গত কয়েকদিনের মধ্যে অতিথি পাখির কলতানে হাওর, বিল, লেক ও জলাশয়গুলো পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠবে। ফলে পর্যটক, দর্শণার্থী ও ভ্রমণপিপাসুদের আগমন শুরু হবে। এছাড়াও বিল, জলাশয়, চা-বাগান লেক-এ অতিথি পাখির আনাগোনা শুরু হয়েছে।
শীত শুরুর সাথে বদলে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতির ভিন্ন রূপ। অন্যদিকে শীত জেঁকে বসার আগেই উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে দোকান গুলোতে। শীত বরণে এক অন্যরকম প্রস্তুতি। সকালে সবুজ ঘাসে জমছে শিশির। ভোরে কুয়াশাও পড়ছে। তবে জেলার চা বাগানগুলোতে শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত বুধবার ১৪. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
শ্রীমঙ্গল এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে শীত পড়েছে আমাদের এলাকায়। বিশেষ করে রাতে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের মনিপুরী পাড়ার বাসিন্দা নিখিল মালাকার বলেন, পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল হাওরে এখন অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। খুব সুন্দর বাংলার রূপ দেখতে বডড ভালোই লাগে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস সন্ধ্যায় জানান, ১ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় এবং সন্ধায় ৬ টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য বছর নভেম্বর থেকেই শ্রীমঙ্গলে শীতের প্রকোপ থাকে। এবার একটু দেরিতে শীত নেমেছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে শীতের তীব্রতা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে জানান।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:১২ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি