মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি পরিযায়ী পাখি ও পাখি ধরার সরঞ্জামসহ জব্দ করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হাইল হাওরের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পাখি শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এক ব্যক্তিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার। এ সময় র্যাব–৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত থেকে অভিযানে সহযোগিতা করেন। অভিযানর সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, উদ্ধার করা পাঁচটি পাখির মধ্যে একটি মৃত ছিল। পরে চারটি পাখি হাওরে অবমুক্ত করা হয়।
শিকারী দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম খাজা মিয়া (৫৫)। তিনি হাইল হাওরের পাশের গ্রাম পশ্চিম ভাড়াউড়ার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে।
মৌলভীবাজার জেলা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা পাখি শিকারের ব্যাপারে জানতে পারি। কয়েক দিন ধরেই হাওরে অভিযান চালিয়ে কাউকে ধরতে পারছিলাম না। শিকারিরা নৌকা নিয়ে অনেক ভেতরে থাকেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই হাওরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। আমরা হাওরের প্রবেশ মুখের একটি গ্রামের রাস্তায় কাপড় বদল করে বিভিন্ন পোশাকে ছিলাম। এ সময় পাখি শিকারি বস্তায় করে পাখি নিয়ে রাস্তায় এলে আমরা তাঁকে আটক করি। পরে ওই বস্তা থেকে পাঁচটি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার করা হয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, হাওরে আসা পাখি ধরতে পুরো হাওরেই শিকারিরা জাল ও ফাঁদ বিছিয়ে রাখেন। ফাঁদে ধরা পড়া এসব পাখি জোড়াপ্রতি ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। প্রশাসনের অভিযানে ধরা পড়লেও শাস্তি হিসেবে জরিমানা খুব বেশি করা হয় না। এ জন্য অনেকেই আবার পরদিন থেকে পাখি শিকারে জড়িয়ে পড়েন। এদের আরো কঠিন শাস্তি দিলে হয়তো দ্বিতীয় বার শিকারে আসার কথা ভেবে চিন্তে আসতো।