তিমির বনিক, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল শ্যামলী আবাসিক এলাকায় BCPRTA শ্রীমঙ্গল উপজেলার নব নির্বাচিত সভাপতি ও মোবাইল ওর্য়াকশপের সত্ত্বাধীকারি খালেদ আহমেদ বাসায় বুধবার দিবাগত রাত ২ ঘটিকায় দূধর্য ডাকাতি সংঘটিত হয়।
এদিকে, ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার আগে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী কোন এক সময় রান্না ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে খাবারের মাঝে চেতনানাশক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে যা পরিবারের লোকজন ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। রোজকার মত করে পরিবারের সদস্যগণ রাতের খাবার খাওয়র পর সকলে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তার মাঝে ডাকাত দলের সদস্যরা জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে ডুকে বাসায় যত রকম স্বর্নাংলকার সহ নগদ প্রায় ২লক্ষ টাকা লুটে নেয়। তবে বিশাক্ত ঔষধের পরিমান এতটা বেশি ছিল পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য বমি করতে থাকে এবং স্বাভাবিক কোন রকম কথা বার্তা বলতে পারছে না।
ঘটনাস্থলে শ্রীমঙ্গল থানার তদন্ত ওসিকে প্রায় ৫টার দিকে ফোন করা হলে ২য় বার ফোন বাজতে উত্তর দেন এবং শ্যামলী আবাসিক এলাকায় পৌঁছান এবং সব কিছু তদন্ত করার পর পরিস্থিতি দেখে পরিবারের লোকজনের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভাবে পুলিশি ভ্যানের মাধ্যমে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসার জন্য জরুরি ভাবে ভর্তি করান। তবে অবাক করা বিষয় পাশের ফ্লাটের চার জন মানুষ ছিল যদিও তাদের কোন রকম জিনিসপএের ক্ষয় ক্ষতি হয়নি বরং একই বিষক্রিয়া ঔষধ ঐ পরিবারের মানুষের খাবারে ছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে।
শ্রীমংগল থানার তদন্ত ওসি হুমায়ুন আহমেদের মহানুভবতা ও এই শীতে যে সেবা প্রধান করছেন তার জন্য সত্যি তখন মনে হয় পুলিশ জনগনের সত্যিকারে বন্ধু। তদন্ত ওসি উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লক্সে অবস্থান করছে এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ির লোকেদের কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ।