আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখবেন। শেখ হাসিনা হিমালয় সমান মনোবল নিয়ে অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আধার খুব শিগগিরই কেটে যাবে।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসী। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, ক্ষেতের শস্য জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের কোটি কোটি নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতাকর্মী ঘর ছাড়া হয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিত ভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালী জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।
ওই বিবৃতির শেষাংশে বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়, পহেলা জুলাই থেকে এই পর্যন্ত আমাদের যেসকল নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী সমর্থককে হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা অতিসত্বর তৈরি করে নিজের কাছে রাখুন এবং এই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। এরপর থেকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এবং সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমে একাধিক বিবৃতি পাঠিয়েছেন। যদিও এসব বিবৃতি অফিশিয়ালি না পাঠিয়ে তার একাধিক অনুসারীর মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৪৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি