সরকারের সমালোচনা করা গনতন্ত্রের শিষ্ঠাচার। সব দেশে সব সরকারেরই সমালোচনা হয়। বাংলাদেশে সমালোচনা নয় মিথ্যাচার করে রাজনীতির নামে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতী সংঘের সাধারন পরিষদে বক্তৃতা করতে এসেছেন। সব সদস্য দেশের সরকার প্রধানরাই প্রতি বছর এই সময়ে নিউইয়র্কে আসে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পর থেকেই বি এন পি নেতারা মরিয়া হয়ে মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে। তাদের জোটভুক্ত দলের নেতারাও থেমে নেই। আমেরিকার নিউইয়র্কে বি এন পি সমর্থকদের শ্লোগানের ভাষাও ছিল অশালীন। কিন্তু কেন? এত উত্তেজিত হয়ে এমন অশ্রাব্য গালাগালি করতে হল কেন?
বি এন পি যতই দাবী করুক, দলটি রাজনীতি থেকে ছিটকে পরেছে। কোন নেতৃত্বও নেই। ঘরে বসে হুঙ্কার দেওয়া ছাড়া গত ১২ বছর কোন কার্যকর আন্দোলন করতে পারেনি। দলটি নির্বাচন চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন হতে হবে তাদের পছন্দে। সব জড়িপেই দেখাগেছে বি এন পি ৩০ থেকে ৩৫ টি আসনে ভালভাবে জয়লাভ করতে পারে। চেষ্টা করলে আরও ৪/৫ টি আসন আনতে পারে। জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র এম পি’ দের নিয়ে বি এন পি সংসদে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু বি এন পি বিরোধী দলে থাকতে চায়না। জোর করে বন্দুক দেখিয়ে হলেও ক্ষমতা চায় দলটি। বিগত নির্বাচনে তাদের ৪০/৪৫ টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। হঠাৎ করেই তারা নির্বাচন প্রত্যাহার করে বসে পরেছিল। যথারিতি ফলাফল গেছে সরকারী দলের পক্ষে। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকা দিতে প্রচার চালিয়েছে আগের রাতে ভোট হয়ে গেছে। ষড়যন্ত্র করে দেশে একটা গন্ডগোল বাধিয়ে সামরিক বাহিনী দ্বারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে বি এন পি।
২০০৯ সালের পর থেকে বহুবার ষড়যন্ত্র করেছে দলটি। হেফাজতের আন্দোলনে বি এন পি নেতারা পরদিন সকালে একসাথে নাস্তা খাওয়ার ঘোষনা দিয়ে রেখেছিল। এখনও একের পর এক মিথ্যাচার করে চলেছে। কারন বি এন পি নেতারা জানে পদ্মা সেতু চালু হলে সরকার অর্জন নিয়ে জনতার সামনে দাঁড়াবে। বি এন পি’র হাতে কোন অর্জন নেই ভোট চাওয়ার। তাই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে হবে।
হ্যাঁ! বি এন পি’রও জনসমর্থন আছে। যে কোন নির্বাচনেই বি এন পি তাদের সমর্থনের ভোট পাবেই। কিন্তু আসন সংখ্যায় তা সরকার গঠনের মত হবেনা। দলের নেতারাও নিজ এলাকায় কর্মী বাহিনীকে নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। ত্যগী কর্মীরা অবহেলিত নেতাদের কারনে। নমিনেশন বানিজ্য কর্মীবাহিনীকে বিদ্রোহী করে তুলেছে। আগামি নির্বাচনেও বি এন পি’র অবস্থান পরিবর্তন হবেনা। তাই বি এন পি নেতারা মরিয়া হয়ে নেমেছে। সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মিথ্যাচার করে চলেছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগনের দল। ৭০ বছর ধরে দলটি এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জাতির পিতা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতীর পিতার স্বপ্ন পুরনের ব্রত নিয়ে দেশ গড়ায় আত্ননিয়োগ করেছেন এবং দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এনে দাড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ শিঘ্রই উন্নত দেশের কাতারে পৌছে যাবে ইনশাল্লাহ। শেখ হাসিনাই হবেন উন্নয়নের মডেল।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।