শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া ও মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে চুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। অত্যধিক চুল ঝরা, রুক্ষ চুল ও বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশনের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী এ খুশকি। তাই খুশকির সমস্যা থাকলে তা দূর করতে হবে। খুশকি দূর করতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ও লোশন পাওয়াই যায়। তবে এসব জিনিসে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে অনেক সময় চুলের ক্ষতিও হয়। তাহলে কী করবেন? খুশকি দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হাতের কাছেই থাকা বিভিন্ন ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান।
লেবুর রসঃ দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২ থেকে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে।
পেঁয়াজের রসঃ দুটো পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানি মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পেঁয়াজের রস ভালো করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে ও স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দুবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারিকেল তেল মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
টকদইঃ খুশকির সমস্যায় টকদই খুব কার্যকরী। খুশকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করুন।
মেথিঃ চুলের খুশকি দূর করতে ও চুল পড়া কমাতে মেথি খুব ভালো কাজ করে। মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভালো করে বেটে নিন। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় ও মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে দুবার মেথি মালিশ করলে উপকার পাবেন। সূত্র: জিনিউজ।