তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকের ঢল নেমেছে মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী নামে খ্যাত শ্রীমঙ্গলে। এরইমধ্যে সবগুলো রিসোর্ট ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে কোথায় কোন ফাঁকা নেই। শ্রীমঙ্গলে প্রায় ৮০টি রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তবে সবকটিতেই সিট বুকিং রয়েছে। তিনদিনের সরকারি ছুটিকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সরজমিন খুরে দেখা যায় এবং কিছু রিসোর্ট ও কটেজ মালিকের সাথে যোগাযোগ করে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পেরেছি।
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা টিপু আহমেদ বলেন, সামনের তিনদিন বন্ধ পড়েছে। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছি। এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা শেষে ফিরে যাবো। অন্য আরেক পর্যটকের সাথে কথা হয়, ঢাকা থেকে মোহাম্মদ শহিদ বলেন, যান্ত্রিক শহরে জীবনের মানে ভুলে গিয়েছিলাম,এক গুয়েমি জীবনে থাকতে থাকতে অনেকটা বিরক্ত চলে আসে। তাই তিনদিনের ছুটি পেয়ে ঘুরতে এসেছি। শ্রীমঙ্গলের সবুজ চা বাগান, টিলা, জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য মন কারানো পরিবেশে যেন জীবনের মানে বুঝতে পারছি। প্রকৃতি যেন কাছে টানে।
ময়মনসিংহ থেকে আসা পর্যটক বেলাল মিয়া বলেন, শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট ও কটেজগুলো মানের দিকে মোটামুটি ভালো কিন্তু এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা মনটাকে খারাপ করে দিয়েছে। পর্যটন শহর নামে পরিচিত এই শ্রীমঙ্গলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাই রাস্তাঘাটগুলো আরও উন্নত হওয়া দরকার।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শ্রীমঙ্গলে পর্যটক আসা শুরু হয়। এনিয়ে কথা বললে গ্ৰীন ভিউ রিসোর্টের এস কে দাস সুমন ও টি রিসোর্টের শামসুদ্দিন জানান, ছুটির দিনে ভিড় এতো বেশি থাকে যে পর্যটকদের স্থান দেওয়া যায় না।
শ্রীমঙ্গলের আবাসন পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ বলেন, গত তিনদিন ধরে এখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান ও ভালোমানের হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে এই স্থানকে বেঁচে নিচ্ছেন অতিসহজে পর্যটকরা। এখানে প্রায় ৮০টির মতো হোটেল-রিসোর্ট ও কটেজ আছে। সবকটিতেই সিট বুকিং রয়েছে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য যা যা করার প্রয়োজন আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা ট্যুরিস্ট বাস চালু করেছি। এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।