শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। বাঙালির পিঠা খাওয়ার জন্য শীত একেবারে আদর্শ সময়। নানা রকম পিঠার সমাহার এখন সবার ঘরেই। তবে অনেকেই আছেন মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না। আবার শারীরিক নানান সমস্যার কারণে মিষ্টি খাওয়া অনেকেরই বারণ। তাই বলে কি পিঠা খাওয়া হবে না! খেতে পারেন ঝাল পুলি পিঠা। পুলি পিঠা সাধারণত মিষ্টি পুর দিয়ে বানানো হলেও আপনি ঝাল পুর দিয়ে বানিয়ে খেতেই পারেন।
চলুন জেনে নেয়া যাক ঝাল পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি-
পুর তৈরির উপকরণ:
মাংসের কিমা ৩ কাপ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, দারুচিনি একটি, কাঁচা মরিচ কুচি আধা টেবিল চামচ, এলাচ ২টি, লবঙ্গ ২টি, কাবাব মশলা আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।
খামি তৈরির উপকরণ:
আটা বা ময়দা ৫০০ গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, ঘি এক কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ, পানি পরিমাণমতো।
পুর তৈরির পদ্ধতি:
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল ঢেলে গরম করে নিতে হবে। তারপর আদা ও রসুন দিয়ে ভালো করে হালকা ভেজে নিতে হবে। হালকা ভাজা হলে এতে কুচি করে নেয়া পেঁয়াজগুলো দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। পেঁয়াজটা নরম হয়ে এলে পর্যায়ক্রমে লবণ ও মশলাগুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপর একটি চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে তারপর মাংসের কিমা দিয়ে দিতে হবে। আর মাংস কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রেখে দিতে হবে।
খামি তৈরির পদ্ধতি: প্রথমেই আটা বা ময়দার সঙ্গে লবণ ও ঘি মিশিয়ে মেখে নিতে হবে। তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে মেখে খামি তৈরি করতে হবে। যেভাবে তৈরি করবেন গরুর মাংসের ঝাল পুলি পিঠা তৈরিকৃত খামি দিয়ে রুটি বানিয়ে তারপর বোতলের মুখ দিয়ে ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করুন। এবার এটিকে ছোট রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এখন এটির মাঝখানে মাংসের পুরটা দিয়ে ভাজ করে নিতে হবে। এরপর পিঠায় পছন্দমতো ডিজাইন করে মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যস, এবার ডুবোতেলে ভেজে নিয়ে পরিবেশন করুন গরুর মাংসের ঝাল পুলি পিঠা।