অনলাইন ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে একজন শিশু ও একজন পুরুষ রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ শাহ সিমেন্ট এবং হরিহপুর এলাকা থেকে এই দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে দুইজন।
এদিকে মোট ১০ জনের মরদেহর মধ্যে ৭ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নৌ পুলিশ জানিয়েছে।
আগের দুই দিনে উদ্ধার হওয়া যে সাতজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলামপুরের ব্যবসায়ী জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫), মুন্সিগঞ্জ সদরের আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফাতেমা (৭), মুন্সিগঞ্জ সদরের স্মৃতি (২০), উম্মে খায়রুন ফাতেমা (৪০)।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আশরাফ উদ্দিন নামের একটি যাত্রিবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেয় রূপসী-৯ নামের একটি কার্গো। এতে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর আল আমীন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও ১২ জন নিখোঁজ ছিলো। এ ঘটনায় বিআইডব্লিওটিএ দুইটি মামলা করেছে।