ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় দূতাবাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি খাতের ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা আছে। সেগুলো যাতে ছাড়া হয় সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ে এসব পেঁয়াজ দেশে আসবে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। সরকারের এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, কেবল সরকার সব ঠিক করে দেবে এমন ভাবাটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগনের জন্যই ব্যবসা।
তিনি বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলো! এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।
এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ভারত থেকে আমদানির লক্ষ্যে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের মধ্যে ১৬ হাজার টন ইতোমধ্যে দেশে এসেছে। বাকি ৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত ছাড় করিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানান হায়দার আলী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম