স্থির চিত্রে দেখা যাচ্ছে তুষারের মতো পড়েছে শিলা বৃষ্টি। সাথে ছিল বাতাস। দুপুরে এমন ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাবঞ্চলের মৌলভীবাজারের জুড়ীতে। গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) দিনে এই ঝড় শুরু হয়।
জানা গেছে, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমের মুকুল, কমলার ফুল, বাতাবিলেবুর ফুল, কাঠাল সহ অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি উপকারী হলেও অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা কপাল পুড়েছে কৃষকের।
এর আগে রবিবার সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জুড়ী উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দিনব্যাপী সূর্যের দেখা মিলেনি। জুড়ী উপজেলায় হঠাৎ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গবাদিপশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ বিষয়ে সোমবার উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের ডুমাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, সোমবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে দুপুর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও শীলাবৃষ্টি শুরু হয়।
গেয়ালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শীলা বৃষ্টির কারণে সূর্যমুখি, শসা, জিঙ্গা, তরমুজ সহ অনেক ধরণের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ডুমাবাড়ী গ্রামের নিমার আলী নামে এক কৃষক বলেন, আমি এবার তরমুজের প্রথম চাষাবাদ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিলাবৃষ্টিতে। তরমুজের ফল ও ডগার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন বলেন, জুড়ীতে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে ধানের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। আর শিলা বৃষ্টি হলে এমনিতেই কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হয়। বড় ধরণের তেমন ক্ষতি সাধিত হয়নি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান