খুলনার পাইকগাছায় শিববাটি ব্রীজের অবৈধ টোল বন্ধের দাবীতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে প্রস্তাবিত খুলনা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঘন্টা ব্যাপী চলমান প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এটিএম সাইফুদ্দিন সুমন, সাংবাদিক রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, জিয়াউদ্দীন নায়েব, মঈন উদ্দিন শিমুল, হাফিজ আল জাবির লিপু, শাহজামান বাদশা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম,মোঃ জিনারুল ইসলাম, মাহফুজ গাজী, তিতাশ সরকার, ওবায়দুল ইসলাম, মিনারুল ইসলাম, খাইরুল হোসেন, মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিকী অনশন কর্মসূচির চলাকালে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল প্রতীকী অনশনকারীদের সাথে একত্বতা ঘোষণা করে অনশন স্থলে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে দুপুর ২ টার দিকে পাইকগাছা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি ও ফলের জুস দিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।
অনশন কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন-পাইকগাছা শিববাটি ব্রিজে যে টোল আদায় করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণরূপে বেআইনী। প্রথম পক্ষ আলী আকবর এন্টারপ্রাইজ যে ইজারা সরকারের কাছ থেকে নিয়েছিল সেখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে এই ইজারা বা লীজ দ্বিতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না বা সাব ইজারা দেওয়া যাবে না। দিলে এই ইজারা বাতিল হবে। কিন্তু কাগজ পত্রের আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, এ আলী আকবর এন্টারপ্রাইজ ইজারা নিয়েই দ্বিতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। সেকারনে কোন অবস্থায় এই ইজারা বহাল থাকতে পারে না। অনতিবিলম্বে এই ইজারাদারে বিতাড়িত করে টোল উন্মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যতদিন পর্যন্ত এ ইজারাদারদের বিতাড়িত করে উন্মুক্ত না করা হবে নতুন পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান অনশনকারী নেতৃবৃন্দ।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:২৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি