অল্প সময়ের মধ্যে ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে সেরা শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন কবে পাস হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ নিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি। আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও ‘সম্প্রচার আইন’ নিয়ে কথা হয়েছে। তারাও সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাড় করে দেবে।সম্প্রচার আইন ছাড় পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আমি সময়টা বলতে পারছি না। এটা অনেক দিন ধরে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আমরা তাদের প্রায় তাগাদা দিচ্ছি। সর্বশেষ কথা হয়েছে, সহসাই দেবে।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. মাহমুদ বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র। মেধার সঙ্গে দেশপ্রেম, মানবিকতা ও মূল্যবোধের সমাবেশ ঘটিয়ে এ যুদ্ধে জয়ী হবার ব্রত নিতে হবে। মা-বাবার সেবাদান ও শিক্ষক- গুরুজনদের সম্মান এই ব্রতের অংশ।মানুষের জীবন যাত্রার মান ও ক্রয়ক্ষমতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপীই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত সাড়ে দশ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণেরও বেশি।দেশে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাদের দুর্নীতির অপরাধের সাজা থেকে রেহাই পেতে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল হিসেবে এ ধরনের কথা বলছেন তারা। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও দুর্নীতিসহ নানা অপরাধে আটকাদেশপ্রাপ্ত তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা এড়াবার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না।