প্রতারক শাহেদ করিমের বিচারের রায় বেরিয়েছে আজ। যাবতজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আরও একটি খবর বেরিয়েছে,সিলেটের এম সি কলেজে নারী ধর্ষনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের পক্ষে কেউ কোর্টে যেতে রাজী হয়নি। দুটোই মানবতা বিরোধী অপরাধ। শাহেদের মামলাটি স্বল্প সময়ে নিস্পত্তি হয়েছে। এই রায়ের ফলে অপরাধীরা ভয় পাবে আশাকরি। বিচার ব্যবস্থার উপর মানূষের যে ভ্রান্ত ধারনাটি সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুটা হলেও স্বস্থি দিবে। একই সংগে আরো যারা নানা অপরাধে ধৃত হয়ে বিচারাধীন রয়েছে তাদের সুষ্ঠ বিচার হবে এমন ধারনাও জমতে শুরু করেছে জনমনে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অনেক মানূষ এখন বিত্তভৈবের মালিক বনে গেছে, অনৈতিকতায় ভরে গেছে দেশ। এই বিচারের মাধ্যমে একটি মেসেজ পৌঁছে যাবে সব অপরাধীদের কাছে। এটাই প্রত্যাশীত ছিল সরকারের কাছে। সমস্যাটি হল, এমন কতজন শাহেদ রয়েছে দেশে? সব শাহেদরা কি ধরা পরবে? একজন মালেক ড্রাইভার যখন শত কোটি টাকার মালিক বনে যায় তখন, মানূষের ভয়টি অমুলকও নয়।
সিলেটের এম সি কলেজের সুনাম বিনষ্ট করে দিয়েছে কয়েকজন রাজনৈতিক পরিচয়ধারী অপরাধী। যথার্থভাবেই সিলেটের আইনজীবিরা সঠিক প্রতিবাদ জানিয়েছে আসামীর পক্ষে না দাড়িয়ে। যঘন্য অপরাধীদের পক্ষে আইনী সহায়তা দিয়েছে অনেকে। আদালত পাড়ার অপরাধ আর মানবতার হরন কম হয়নি। শুধুমাত্র অর্থলোভে নৈতিকতা বিসর্যন দিয়ে আইন পেশায় মানবতা লংঘিত হয়েছে বহু। একবার যখন সাহসিকতার সংগে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এই সাহসটি অটুট থাকুক এই প্রত্যাশা আইনবিদদের কাছে করতেই পারি। বংগবন্ধুর হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করতে সময় লেগেছে ৩২ বছর। আইনের মারপ্যাঁচে আর কোন অপরাধী ছাড়া পাবেনা তা নিশ্চিত করতে পারেন শুধুমাত্র আইনবিদরাই। সরকারকেও ন্যয় বিচারের পথকে আরও সুগম করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ একটি সূখী, সমৃদ্ধশালী, উন্নত দেশে পরিনত হতে পারবে, নাহয় নয়।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৮ সেপ্টম্বর ২০২০।