মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরের শার্শা উপজেলার (নাভারণ-বুরুজবাগান)সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকদের অবহেলা ও কমিশন বানিজ্যে রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে এমন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এবার নড়ে-চড়ে বসেছে যশোর সিভিল সার্জন অফিস। বুধবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়ের ঝটিকা পরিদর্শনে ডাক্তারসহ ৫জনকে দেরীতে কর্মস্থলে উপস্থিত পরিলক্ষিত হয় যাহা সরকারী কর্মচারী শৃংখলা ও আপিল বিধির পরিপন্থি ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। সিভিল সার্জন তাৎক্ষনিক উপজেলার (নাভারণ-বুরুজবাগান)সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অনুপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ডেন্টাল সার্জন রাবেয়া সুলতানা ও তার সহকারী ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আনিছুর রহমান, ল্যাবরেটরী মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট হুমায়ুন কবীর, ইপিআই টেকনোলজিষ্ট মাহমুদুর রহমান ও টি এল সি এ বিভাগের সাইদুর রহমানকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।পরিপত্রে উল্লেখিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ১০দিন আগে আরও একবার কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা।হাসপাতাল অফিস সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসকদের নানাবিধ অনিয়ম ও অবহেলার কারণে রোগীরা প্রতারিত হওয়ায় উপজেলার (নাভারণ-বুরুজবাগান) সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবার মান অতি নিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঘিরে নানা জায়গায় নানা রকম গুঞ্জন ছড়াতে থাকে।ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চিকিৎসকদের নানাবিধ অনিয়ম ও অবহেলার বিষয় তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়ে-চড়ে বসে।সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী সেবার কাজে চিকিৎসকদের নিয়োজিত থাকার নিয়ম থাকলেও বিলম্বে হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার কারণে চিকিৎসকসহ ১০জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা ।
এ বিষয়ে উপজেলার (নাভারণ-বুরুজবাগান)সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা বলেন,হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঘিরে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমি নিজেই এখন থেকে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছি।এখন থেকে হাসপাতালের রোগী সেবার বিষয়ে তদারকী করব।হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঘিরে কোন অনিয়ম সাংবাদিকদের সংবাদপত্রে লেখার সুযোগ আর থাকবেনা।এখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ফিরে আসতে শুরু করেছে এবং রোগীরাও ভালমত সেবা পাচ্ছে ।