মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরের শার্শা উপজেলা সেবা প্রদানের জন্য দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ(নাভারণস্হ-বুরুজবাগান)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ৫০শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।নামমাত্র কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে প্রতারনা ও বাইরের পছন্দের বেসরকারী ক্লিনিকের সাথে কমিশন বানিজ্যের প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি এ হাসপাতালটি ৩১শয্যা থেকে উন্নিত হয়ে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত হয়েছে।
৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও এখনও পর্যন্ত কোন ডাক্তার বা জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে ২শ’রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।বহির্বিভাগে প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে টিকিটের জন্য ৫টাকা করে আদায় করা হলেও রোগীরা কাংখিত সেবা পাচ্ছেন না।সকাল সাড়ে ৮টা থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নিয়ম থাকলেও সাড়ে ১০টার আগে কোন চিকিৎসককে হাসপাতালে দেখা মেলে না।আবার বেলা ১টা বাজলে কোন ডাক্তারকে হাসপাতালে খুজে পাওয়া যায় না। দুর-দুরন্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে থেকে কাংখিত সেবা না পেয়ে চলে যায়।
উপজেলার আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের বৃদ্ধা রওশনারা(৬০)ও তাহেরা বেগম(৫৫)জানালেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টিকিট কেটে ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে আছি এখনও কোন ডাক্তার হাসপাতালে আসেনি।হাসপাতালে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা সত্বেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা নিজেই বাইরের পছন্দের বেসরকারী ক্লিনিকে রোগী পাঠানোর প্রমাণ রয়েছে।