বগুড়া শাজাহানপুরের আগাম জাতের আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে। এই আলুর ফলন কম হলেও দাম ভালো থাকে। তাই প্রতিবছর ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষিরা আগাম জাতের আলু রোপণ করেন। কিন্তু এবার আলুর ফলন গত মৌসুমের চেয়ে ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় রয়েছেন চাষিরা। চাষাবাদে খরচ বৃদ্ধি পেলেও মাঠে কিংবা হাটে মিলছে না কাঙ্খিত মূল্য।
২০ জানুয়ারি সকালে সরজমিনে ঘুরে পাইকারী আলু বাজারে বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, আজকের বাজারে প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৫০০থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর রুমানা,পাকরি আলু ৮০০ থেকে ৯০০টাকা মণ। আলুর দাম দিনদিন নেমেই যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে চাষিদের লোকসানে পড়তে হবে।
গ্রামের আলু চাষি বাবুল আক্তার বলেন, ৪৫ শতক জমিতে আগাম জাতের রুমানা আলু চাষ করেছে। ১৪০০ টাকা মণে আলু বিক্রি শুরু হলেও এখন ৮০০ টাকা মণে নেমে এসেছে।দিন যত যাচ্ছে আলুর দাম কমছে। এভাবে দর পতন হলে ব্যপক লোকসানে পড়তে হবে।
আলুর পাইকারি ক্রেতা আরিফুর হোসেন বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পরে আলুর দাম বাড়তেও পারে। আবার কমতেও পারে।