ভারতের ১৮তম সাধারণ লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের চূড়ান্ত ও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। গত দুই বারের মতো এবারও ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সবচেয়ে বেশি ২৪০টি আসন পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯টি আসন পেয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। মোদির বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ‘এনডিএ’ ২৯২টি আসন পেয়েছে। অপরদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৪টি আসন। অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে বাকি ১৭টি আসন। তাই দ্রুতই ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চান নরেন্দ্র মোদি। তার বিশ্বাস জোটের সঙ্গীরা তাকে সমর্থন জানাবেন। যার জন্য এ নিয়ে তিনি সময় নষ্ট করতে চান না। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, শনিবার শপথ নিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি আজ বুধবার পদত্যাগ করেছেন।
কংগ্রেস নেতা এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর মোদি একমাত্র ব্যক্তি যিনি তৃতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যানুসারে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর তিনি সরকার গঠনের দাবি জানান।
২০১৪ সালে ২৮২টি এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৩০২টি আসন পাওয়া মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এবার ২৪০টি আসন পেয়েছে, যা সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে ৩২টি আসন কম। তবে নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সদস্যরা ৫৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন। সরকার গঠনে বিজেপিকে এখন শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর লোকসভা আসন কংগ্রেসের অজয় রাইকে দেড় লক্ষেরও কম ভোটে হারিয়ে তিনবারের সংসদ সদস্য হয়েছেন মোদি। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহের ভোটগ্রহণ শেষ গতকাল ফলাফল ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
গত ১৯ এপ্রিল লোকসভার নির্বাচন শুরু হয়। যা সাত ধাপে গত ১ জুন পর্যন্ত চলেছে। নির্বাচনের আগে যেসব জরিপ চালানো হয়েছিল সেগুলোতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি ভূমিধস জয় পাবে। এছাড়া ১ জুন নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানেও বলা হয়েছিল মোদির দল একাই ৩৫০ আসন পাবে। আর জোট হিসেবে তারা চারশরও বেশি আসনে জয়ী হবে। তবে জরিপের সব ফলাফল ভুল প্রমাণ হওয়া শুরু করে মঙ্গলবার সকালে যখন ভোট গণনা ও ফল আসা শুরু করে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট অবিশ্বাস্যরকম ফলাফল করছে। যেখানে ধারণা করা হয়েছিল এ জোট সবমিলিয়ে ১০০টি আসনও পাবে না সেখানে তারা এই সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এর মাধ্যমে মূলত ভারতে ‘মোদি ঢেউ’ আটকে দিয়েছে জোটটি।
গত নির্বাচনে মোদির এ জোটটি সবমিলিয়ে ৩৫৩টি আসন পেয়েছিল। আর বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০২টি আসন। সেখান থেকে এবার তারা প্রায় ৬০টি আসন কম পেয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ২:১৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি