চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গেল ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫ জন নারী-পুরুষের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা সচেতন নাগরিকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব আত্মহত্যার নেপথ্যে পারিবারিক কলহ, মানসিক বিপর্যয়, ঋণের বোঝা সইতে না পারা, প্রেমে বাধা ইত্যাদি কারন ভুমিকা রাখছে।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) উপজেলার উত্তর কলাউজান বাহাদুর শাহ বাড়ী এলাকায় রোকসানা আকতার (৩২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। তিনি ওই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী। তিনি পারিবারিক কলহের জেরে ঘরের বিমের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে গত ৬ এপ্রিল চরম্বা ওয়াহেদের পাড়ায় তানজিনা নাসরিন কেমী (১৯) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার মো. এরশাদের স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সাথে ঝগড়াঝাটি করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। তবে কেমীর মায়ের দাবি এরশাদ তাকে হত্যা করেছে। এরশাদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে তার স্ত্রী।
অন্যদিকে গত ২৯ মার্চ আত্মহত্যা করে পুটিবিলা গৌড়স্থান চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আউয়াল (২২)। তবে তার আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। আউয়াল ছয়মাস আগে বিয়ে করেন। ঘটনার দিন স্ত্রী বাপের বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে সে বাড়ির বিমের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এছাড়া গত ২৮ মার্চ চরম্বা কালোয়ার পাড়ার গুচ্ছগ্রামে অভাবের সংসারে এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ইয়াছমিন আকতার (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করে। তিনি কাজির পাড়ার সিএনজি চালক ফোরকানের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।
লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ ৫ আত্নহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ১৫ দিনের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছে, পারিবারিক কলহ, মানসিক বিপর্যয়, ঋণের বোঝা সইতে না পারা, প্রেমে বাধা ইত্যাদি।