সম্প্রতি সরকার লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতারা গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করতে শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করে সরকারের পদত্যগ দাবী করছে বিরোধী দলের নেতারা। ব্যর্থ বি এন পি নেতাদেরও কথাবার্তা বদলে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ আর জালানী সঙ্কট এখন বিশ্ব জুড়েই। ১৯৪৫ সালের পর জার্মানীতে ১ মিনিটের জন্যও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়নি। সেই জার্মানীও বিদ্যুৎ রেশনিং করার ঘোষনা দিয়েছে। ফ্রান্স এবং হাঙ্গেরীর অবস্থাও আরও খারাপ। অবস্থা অনুমান করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছে। ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশেও এখন আমেরিকান নীতির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি হয়েছে। যূক্তরাজ্যের প্রধামন্ত্রী অর্থনৈতিক মোন্দাবস্থার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে পদত্যগে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্ব জুড়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি অর্থনৈতিক সঙ্কার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
অভিন্ন অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রেও। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করে তেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সৌদিআরবকে রাজী করাতে পারেনি। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের সঙ্গে ৪০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ফেলেছে। ওপেকের সাহায্য ছাড়া এখন সঙ্কট নিরসনের সমর্থ নেই বিশ্ব নেতাদের। এমনটি হলে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে জালানী সঙ্কট বৃদ্ধি হবেই। জালানী সরবরাহ ব্যহত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে রাজস্ব উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে যার প্রভাব পড়বে সবার উপর।
অতএব, দেশের এই গুরত্বপুর্ন ক্ষেত্রটিকে স্বচল রাখতে এই লোডশেডিং এর বিকল্প নেই। ইউক্রেন যুদ্ধ জালানি রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা এখন প্রভাব ফেলেছে বিশ্বময়। শিঘ্রীই জালানি সরবরাহ স্বচল হবে মনে হয়না। জালানির আমদানি ব্যহত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হবেই। বিদ্যুৎ সেক্টর রক্ষায় ব্যয় সংকোচন জরুরী ছিল। বিদ্যুৎ নিয়ে যারা রাজনীতি করছে তারা হয় সত্যটি জানেন না অথবা জেনেও সত্যটি বলেননা। তবে বি এন পি’র বিদ্যুৎ নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়। এই খাতে তাদের ব্যর্থতাটি দেশের মানুষ জানে।