হ্যা মনে হয় এমনটা বলাই যায়। এই ক্যাম্পাসের সবচাইতে সুন্দর অংশ হয়ত এই বিল্ডিং এর এই সুসজ্জিত অংশটি। গুলশান ২ মত জায়গায় লাল সবুজে মোড়ানো ক্যাম্পাস দেখে যে কারো ভালো লেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক। বলছিলাম জুমস এর কথা। নাম শুনে মনে হতে পারে কোন ভিডিও কলিং সফটওয়ার কিন্তু না জুমস আসলে জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
পথচলার শুরুটা আরো বছর তিনেক আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড জুবায়দুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা গেলো তার স্বপ্নের কথা। বিদেশের লোভনীয় জীবনের হাতছানি ফেলে কেনো দেশে এলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন দেশের জন্য আসলেই কিছু করার তাগিদ। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে মানুষের বদ্ধমূল ধারনা পালটে দেয়ার তাগিদ নিয়েই শুরু হয়েছিল জুমসের যাত্রা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অফার
করা হচ্ছে বিবিএ, এমবিএ, সি এস ই, আইটি ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্স এবং ইংলিশে ব্যাচেলর প্রোগ্রাম। একঝাক পরশ্রমী এবং মেধাবী শিক্ষকদের সমন্বয়ে গড়া বিভিন্ন অনুষদ এই ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোহানের সাথে কথা বলে জানা গেল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পিছনে তার কারন। প্রয়োজনীয় বই নিয়ে সাজানো লাইব্রেরি, অভিজ্ঞ শিক্ষক প্যানেল এবং ওয়েল ইকুইপড আইট ল্যাবের কারনে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তার পছন্দ তালিকার শীর্ষে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক বিদেশের ডিগ্রী ধারী যাদের পূর্ববর্তী শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরেকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেল মানের ক্ষেত্রে কোন ছাড় না দিলেও টিউশান ফিতে ছাত্র ছাত্রীদের অভাবনীয় ছাড় দিচ্ছে জুমস। মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে যেখানে ভালো প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পড়াতে পারে না টিউশান ফী এর জন্য, সেখানে জুমস চার বছরের ডিগ্রী
প্রদান করছে ৪ লাখ টাকারও কমে যেটা এখন এক রকম অকল্পনীয়ই। করোনা মহামারীর কথা বিবেচনা করে এডমিশান ফি পুরো মওফুক করে দেয়া হয়েছে এখানে সাথে মেধাবী এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশীপ তো আছেই। দেখতে দেখতে দুপুর গড়িয়েছে, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই নেমে এলো ঝুম বৃষ্টি, একদল শিক্ষার্থীকে দেখা গেল এই বৃষ্টিতে ক্যান্টিনে বসে ভুনা খিচুড়ি আর ডিম দিয়ে দুপুরের খাবার খেতে খেতে বৃষ্টি উপভোগ করতে। এভাবেই বেড়ে উঠছে জুমস।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং এ অচিরেই প্রথম সারিতে উঠে আসবে জুমস এর কর্মনিষ্ঠা, সততা, মেধা এবং পরিশ্রম দ্বারা। স্বপ্ন দেখাচ্ছে জুমস তবে তা অনেকের মত অবান্তর নয়, তার প্রতিফলনও উঠে আসবে অনাগত বছরগুলোতে জুমস পরিবারের সকলেই তা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন।
খায়রুল এহসান ফাহিম,
লেকচারার, ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট,
জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস।