ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা কমছেই না। আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীনের সম্পর্ক। লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা। এরমধ্যে বটল-নেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট ভারতের মধ্যে হলেও তা বর্তমানে চীনের দখলে।
ওই ওয়াই জংশন পয়েন্ট থেকেই পিপি ১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু চীনা সেনার আওয়াতায় থাকায় সেই এলাকায় পৌঁছতে পারছে না ভারতীয় সেনা। এর ফলে কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার ভারতের নজরদারির বাইরে রয়েছে।
সূত্রের খবর, পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ এলাকার কাছেই চীনা সেনার উপস্থিতি টের পেয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই পয়েন্টকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দুদেশের সেনাবাহিনী। তাতে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়। চীনের তরফেও প্রচুর হতাহত হলেও প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি চীন প্রশাসন। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ এলাকার আশেপাশে প্রচুর চীনা সেনার উপস্থিতি রয়েছে। সেখানে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি না করলেও সেনার উপস্থিতি রয়েছে। ফলে পেট্রোলিং পয়েন্ট-১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না ভারতীয় বাহিনী।
এরমধ্যেই ভারত জানিয়ে দিয়েছে, লাদাখের স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টার ফল ভুগতে হতে পারে চীনকে। চীনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রি শুক্রবার জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখে সমস্যা মেটানোর পথ একটাই। বেজিংকে বুঝতে হবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা হলে তার ফলও ভুগতে হবে। ভারতীয় বাহিনীর স্বাভাবিক টহলদারির পথে বাধা দেওয়া বন্ধ হলেই সমস্যা মেটানোর পথে হাঁটা সম্ভব। অপরদিকে সেনাপ্রধানও লাদাখ থেকে ফিরে পুরো পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে। শনিবার সম্ভবত তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে।
গত ১৫ জুন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কিছুটা পিছু হটেছিল চীনা সেনা। কিন্ত বিগত কয়েকদিনে এই পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ এলাকায় ফের প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এই এলাকাতেই রয়েছে ওয়াই পয়েন্ট, এখান দিয়েই ভারতীয় পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ এলাকায় পৌঁছাতে হয় ভারতীয় বাহিনীকে। কিন্তু পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-তে চীনা বাহিনীর উপস্থিতির কারণে ওই বিস্তৃর্ণ এলাকায় টহল দিতে পারছে না ভারতীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, এই পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ এবং ওয়াই পয়েন্ট দিয়েই গিয়েছে দারবুক-শাইয়োক-দৌলত বেগ ওল্ডি সড়ক। এই সড়কই মূলত চীনের মাথাব্যাথার কারণ। সুত্রঃ কলকাতা নিউজ।