‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ লাদাখের প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের উচ্চতম বিমান ঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে । সম্প্রতি এমনি একটি ছবি স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে।
এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, লাইন অক কন্ট্রোলের কাছে মোতায়েন বিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল J-11 এবং J-16 ফাইটার। ৬ এপ্রিলের স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অসামরিক বিমান ঘাঁটি রূপেও ব্যবহার হওয়া গারি গুনশায় সেই অর্থে সমরসজ্জা নেই। কিন্তু তারপর ২১ মে-তে পাঠানো ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন ইশারা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এবার লাদাখ সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে চীন। করোনা আবহে মহামারি থেকে নজর ঘোরাতে এবং হংকংয়ে চলা বিক্ষোভের আঁচে বিপাকে পড়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে পারেন জিনপিং। বিমান মোতায়েন নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রাক্তন পাইলট ও কারগিল যোদ্ধা সমীর জোশীর বক্তব্য, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গারি গুনশায়র উচ্চতা ৪ হাজার ২৭৪ মিটার।
ফলে চীনা যুদ্ধবিমানগুলো সীমিত পরিমাণের মিসাইল ও বোমা নিয়ে উড়তে পারবে। এবং খুব বেশি ঘণ্টাখানেক বাতাসে থাকতে পারবে সেগুলো। কিন্তু মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরলে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আকাশে থাকবে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাবধান হতে হবে।
এর আগে, ভারত-চীন সংঘাতের পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এনডিটিভি’র মূল প্রতিবেদনের লিঙ্ক- এখানে।