এদিকে, আরেক বিরোধপূর্ণ পয়েন্ট ডেপসাং সমতলেও সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে চীন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সীমান্তে সংঘর্ষের জন্য চীনকে আবারও দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে ভারত।
গালওয়ান উপত্যকায় গত তিনদিনে চীনা সেনাদের উপস্থিতি আগের তুলনায় কম দেখা গেছে। সরকারের এক উর্ধতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। তবে গত মে মাস থেকে নির্মাণ করা স্থাপনাগুলো সরায় নি দেশটি।
১৫ই জুনের সংঘর্ষের পর, গেল ২২শে জুন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক করে চীন ও ভারত। বৈঠকে বিরোধপূর্ণ তিন পয়েন্ট- গালওয়ান, হট স্প্রিংস এবং প্যাংগং সো’র কাছে ফিঙ্গার এলাকায় সেনা টহল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখতে একমত হয় দুপক্ষ।
তবে সম্প্রতি আরেক বিরোধপূর্ণ পয়েন্ট ডেপসাং সমতলেও সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে চীন। এঘটনার জেরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ৬৫টি পয়েন্টে সেনা টহল বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত। এছাড়া, গালওয়ানে আবারও তাবুর মত কিছু স্থাপনা দেখা গেছে বলে অভিযোগ ভারতের।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সীমান্তে সংঘর্ষের জন্য চীনকে আবারও দায়ী করেছে ভারত। এছাড়া, বৈঠকের শর্ত মানতে ব্যর্থ হলে পরিণতি ভাল হবে না, বলেও সতর্ক করেছে দেশটি।
লাদাখ পরিস্থিতি অনিশ্চয়তায় ঝুলতে থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার প্রভাব পড়বে বলেও বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা সহসাই মিটছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সুত্রঃ ডিবিসি।