২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শুরু হওয়া মানুষের দীর্ঘ লাইন সকাল থেকে আরো বাড়ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। রাতের প্রভাতফেরি এসে মিশেছে দিনের সূর্যোদয়ে। সবাই খালি পায়ে হাতে ফুল নিয়ে এসেছেন ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সবার হাতে ফুল কিংবা ফুলের তোড়া।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হাতে ফুল ও মুখে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি…’ সেই কালজয়ী গান গেয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছেন বিভিন্ন বয়সের লাখো নারী-পুরুষ।
অনেকেই আসেন নিজস্ব সংগঠনের ব্যানার হাতে। কেউ কেউ নিজে, কেউ দল বেঁধে বন্ধুদের সঙ্গে। আবার কেউ পরিবারের সবাই মিলে।
একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাত গভীর হতে থাকলেও কমেনি মানুষের ভিড়। নানা বয়সি শিশুদেরও দেখা যায় অভিভাবকের হাত ধরে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দিতে শহীদ মিনারে এসেছে।
এরপরই সাধারণ জনগণের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তবে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে ওঠার অনুমতি ছিল না সাধারণের। মূল বেদির নীচে সিঁড়ির গোঁড়ায় ফুল রাখার ব্যবস্থা ছিল। নানা বয়সি নারী-পুরুষ ও শিশুরা শৃঙ্খলার সঙ্গে পলাশী প্রান্ত দিয়ে ঢুকে ফুল রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় ফুল দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে যান। বিএনসিসি ও স্কাউটসের সদস্যরা সেসব ফুল নিয়ে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে সাজিয়ে রেখে আসেন।
শহীদ মিনার চত্বরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুশিলের পাশাপাশি কাজ করছে রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসির সদস্যরা।