মৌলভীবাজারের জুড়ীতে শাহাজান ভূঁইঞার মাচায় ঝুলছে শীতকালীন ছোট, বড় ও মাঝারি অসংখ্য লাউ। মাত্র দশ শতক জমিতে শখের বসে হাজারী জাতের লাউ চাষ করে বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষাবাদের প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকার অধিক লাউ বিক্রি করেছেন। আশার চেয়ে অধিক ফলন হওয়ায় আরো লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রয় করা যাবে বলে এমনটাই মনে করছেন শাহাজান।
জানা গেছে, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ি ইউপির বাছিরপুর গ্রামের কৃষক শাহাজান ভূঁইঞা (৬০)। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী মাত্র দশ শতক জমিতে ২ মাস পূর্বে হাজারী জাতের লাউয়ের বীজবপন করেন। সঠিক ভাবে শ্রম ও অপকারি পোকামাকড় নিধনে সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দিনগড়ানোর সাথে সাথে পাল্টে গেছে ফলনের দৃশ্যপট। এলাকা ও হাটে টাটকা লাউয়ের ভালো চাহিদা ও দাম পাওয়ায় তিনি আনন্দিত। এছাড়াও তিনি ফ্রান্স বিন, লালশাক, পালনশাক, করলা, ধনিয়াপাতা, শিম, লাইশাক ও সরিষা ইত্যাদির আবাদ করেছেন।
✪ আরও পড়ুন: হাওরাঞ্চলের বাতাসে কৃষকের খুশির আমেজ
লাউ চাষি শাহাজান ভূঁইঞা বলেন, আমি শখেরবসে দু’মাস পূর্বে হাজারী জাতের লাউের বীজ রোপন করি। কয়েকদিনের ব্যবধানে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এলাকায় ও বাজারে ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রি করতে পারব।
জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপজেলার নিন্মাঞ্চলে লাউ, মিষ্টিকুমড়া জাতীয় সব্জি চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনায় আবাদ করলে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি সাবলম্বী হওয়া সম্ভব। শাহাজান ভূঁইঞা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন। আশা করি তার মতো এলাকার অনেকেই সব্জি চাষে এগিয়ে আসবে এবং বেকার যারা আছেন তাদের আগ্ৰহ যোগাবে শাহাজান ভূঁইঞার এই উদ্যোগ দেখে।