মো: জাহির হোসাইন, লক্ষ্মীপুর :
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী ) মধ্য রাতে থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল মধ্যে রাতে পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর মেঘনা নদীতে
মাছ ধরা ও আহরণ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।লক্ষ্মীপুর আলেকজেন্ডার থেকে চাঁদপুর ষাটনল পর্যন্ত মাছ ধরা যাবে না।
যদি কেহ এই আইন অমান্য করলে আইনানুগ বেবস্থা গ্রহণ করা হবে।রয়েছে অর্থ দন্ড থেকে করা দন্ড।
মৎস কর্ম কর্তাদের মতে মার্চ থেকে এপ্রিল এই ২ মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলে ছোট ঝাটকা মাছ
বড় হবে ২ মাস জেলেরা মাছ / ঝাটকা না ধরলে মাছের পরিমান বৃদ্ধি পাবে আর সুফল জেলে এবং জনগণ
ভোগ করবে।তাই ঝাটকা নিধন এবং ঝাটকা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা।
বিগত বৎসর গুলোতে এই সময় মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার কারণে এর সুফল পাওয়া গেছে।
এতে মাছের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
গেল বছর লক্ষ্মীপুরে ২০ হাজার মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়। জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা নদীর ১ শ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার।
এ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বরফ কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন লক্ষ্মীপুরের ২৪ হাজার ২৪৭ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। জেলায় ৫২ হাজার তালিকাভুক্ত জেলে থাকলেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬২ হাজার জেলে রয়েছে।