লক্ষীপুরের আলমগীর মামলায় জামিন পান কিন্তু বাসায় ফিরেন না জেলগেট থেকেই অদৃশ্য কারনে পুলিশ বার বার আটক করে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেন যা নিয়ে ইতিমধ্যে লক্ষীপুরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
ঘটনার সুত্রপাত বিগত ১৪/৭/২০১৯ ইং তারিখে লক্ষীপুর থানার এস আই মোর্শেদ আলমগীরকে ফোন করে লক্ষীপুর থানায় আসতে বলেন, আলমগীর লক্ষীপুর থানায় এসে এস আই মোর্শেদের সাথে দেখা করলে সেখান থেকে রায়পুর থানার এস আই শামছুল আরেফিন আলমগীরকে নিয়ে যান রায়পুর থানায়। রায়পুর থানায় দুইদিন আটক রাখার পর ১৬/০৭/২০২৯ ইং তারিখে একটি ডাকাতির মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে কোর্টে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত আলমগীরকে জেলে পাঠান।
ঘটনা ২য়ঃ
আলমগীর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া বিগত ১২/৯/১৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় লক্ষীপুর কারাগার থেকে বের হলে, পুলিশ কোন কারন ব্যতিত জেল গেইট থেকে আটক করে নিয়ে যান এবং ১৪/৯/১৯ ইং তারিখে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে নতুন মামলা দিয়ে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত ২য় বার জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনা ৩য়ঃ
২য় ঘটনার পর আলমগীর পুনরায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে লক্ষীপুর কারাগার থেকে ২/১২/১৯ ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় বের হওয়ার প্রাক্কালে মুল ভবনের গেইটের ভিতর থেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়, এরপর ৪ দিন নিখোঁজ থাকে আলমগীর। প্রশাসনের সকল জায়গায় খোজাখুজি করিয়াও পায়নি তাকে, পরবর্তীতে বিগত ০৬/১২/১৯ তারিখে ১৫৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে ৩য় বারের মতো মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠালে আদালত আবারো জেলে প্রেরন করেন।
বিগত ২৯/১২/২০১৯ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল লক্ষীপুর, জনাব আব্দুল কাদের সাহেবের আদালতে এমনই একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর এর আইনজীবী ও তার স্ত্রী সাজু বেগম, আলমগীর এর পক্ষে দরখাস্তের মাধ্যমে জেলগেটের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তের আবেদন করলে আদালত উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ঘটনার দিনের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার আদেশ দেন। আলমগীর এর পক্ষে বক্তব্য সিসি ফুটেজ উদ্ধার হলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আসামীর স্ত্রী সাজু বেগম এর সাথে সাজু কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আদালতের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে বার বার জামিন করালেও পুলিশ অন্যায় ভাবে আমার স্বামীকে জেল গেইট থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে মিথ্যা মাদকের মামলায় জড়িয়ে দেয়। আমার ছোটো ছোটো ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে নিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় আছি। সাজু বেগম এই অবস্থা থেকে পরিত্রান নিয়ে ছেলে মেয়ে স্বামী নিয়ে সুখী জীবন প্রত্যাশা করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল আহাদ শাকিল পাটোয়ারী বলেন সারাদেশে মাদকে ছেয়ে গেছে, যুবসমাজ আজ মাদকের করাল গ্রাসে আক্রান্ত। দেশে বর্তমানে মাদক বিরোধী যে অভিজান চলছে আমরা এই অভিজানকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু মাদক বিরোধী অভিজানের নামে কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং বার বার জেল গেইট থেকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মাদক মামলায় জড়ানো হোক তা চাইনা, এর ফলে প্রকৃত মাদক বিরোধী অভিজান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা চাই আর কোনো নিরীহ মানুষ জেনো মিথ্যা মামলায় আলমগীর এর মত জেল না খাটে। আমরা আর কোনো জজ মিয়া, জাহালম নাটক দেখতে চাইনা।