ডিবিএন ডেস্কঃ দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
আগামীকাল ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তাই লকডাউনের সময়কালে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকের সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
লকডাউনের সময় ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে কার্ড দিয়ে এককালীন ১ লাখ টাকা তোলা যাবে। এছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং কিছু কিছু ব্যাংকে বেশি টাকা উত্তোলন করা যায়।
গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণের অতি জরুরি প্রয়োজন ও অত্যাবশ্যকীয় জরুরি পরিষেবা পাওয়ার নিমিত্তে দৈনন্দিন নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমএফএস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকলীন সাধারণ জনগণের চাহিদা মোতাবেক নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিতকরণের জন্য এটিএমসমূহ সচল ও তাতে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
এক্ষেত্রে এটিএম বুথে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমার ন্যূনতম পরিমাণ হবে এক লাখ টাকা। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) লকডাউনের শুরু আগে ব্যাংকের শেষ কার্যদিবস হওয়ায় এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল দেশের লকডাউনের বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল।
লকডাউনের সময়ে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) নির্দিষ্টদিনের জন্য খোলা রাখা যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনও ব্যাংক খোলা রাখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেবে না।