দেশজুড়ে বেশ কয়েকদিনে লংকা বা কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে উঠে। সেই কাঁচামরিচের দাম মাত্র একদিনের ব্যবধানে ঝাঁঝ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ফিরেছে। বেশ কয়েকদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মৌলভীবাজারে কাঁচামরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত লংকা বা কাঁচামরিচ এর ঝাঁঝ নেমে এসেছে। একদিন আগেও ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল কাঁচামরিচ।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীরা আড়তদারদের কাছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করেন। হাতঘুরে সেই লংকা বা কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে গ্ৰাম ছেড়ে অফিস মুখী মানুষ যখন কর্ম ব্যস্ততায় তখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। টানা ৫ দিন ছুটির পর গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন বন্দরে শুরু হয়েছে পুরোদমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। ছুটি কাটিয়ে কার্যক্রম শুরুতেই দেশে এসেছে ভারত থেকে ৫৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। সবগুলো বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হলে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম আরও কমবে বলে দাবি আমদানিকারকদের। এছাড়া দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ কাঁচামরিচ খাওয়া কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
কয়েকজন কাঁচামালের আড়তদার জানিয়েছেন, প্রতিদিন বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাঁচামরিচের বাজার ক’দিন বেশ চড়া ছিল। দু’দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সেই কাঁচামরিচ।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
কাঁচা মরিচ বিক্রেতারা অবশ্য সরবরাহ স্বল্পতাকে দোষে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি, দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবৃষ্টিতে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। তাই স্থানীয় বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার একজন বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখন প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতিকেজি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভারতের মরিচ পুরো দমে এলে দাম আরও কমবে। মূলত বর্ষার কারণে মরিচের সরবরাহ কম। এতে করে দাম বেড়েছিল।
শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজারে বাজার করতে আসা নিখিল মালাকার বলেন, দাম কমেছে এজন্য ৩০০ টাকা কেজিতে কিনতে হবে? এখনো প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। একটি পণ্য কিনতে গেলে অন্য নিত্যপণ্য কেনা বেজায় কষ্ট হয়ে পড়ে। লংকা নিয়ে লংকা কান্ড ঘটিয়ে দিলো দেশ জুড়ে।
সবজি সহ কাঁচামরিচ কিনতে আসা নন্দিনী মল্লিক বলেন, কাঁচামরিচ এখন মনে হয় গলার কাঁটা হয়ে গেছে। এই দামে কাঁচামরিচ কিনতে গেলে অন্যান্য খরচাপাতি কীভাবে কিনবো?
মৌলভীবাজার জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমদানি করা কাঁচামরিচ আসতে শুরু করেছে। সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং ও তদারকি করা হচ্ছে। অতিরিক্তি দামে কাঁচামরিচে আদায়ের কোন সুযোগ নেই।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি