সাকিব আল হাসান, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) : নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের দখলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সব ধরনের রাস্তা। ট্রাক্টরের দৌরাত্বে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে কাঁচা পাকা রাস্তা। এছাড়াও ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
গ্রামীণ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ ঢাকা- রৌমারী সড়কেও অবাধে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টর।
চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর এখন অবৈধ ট্রাক্টর বা পরিবহন হয়ে গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। বিরামহীন চলাচলে শব্দ দূষণেও আশপাশের গ্রামের মানুষ, রাস্তায় চলাচলকারী জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি নজর নেই উপজেলা প্রশাসনের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। কৃষি জমির উর্বর টপসয়েল কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ ও পুকুর-দীঘিনালা ভরাট চলছে। ট্রাক্টরের অত্যাচারের মুখে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোড পারমিশন বিহীন ট্রাক্টর ও লাইসেন্স বিহীন চালকের কারণে দোকান-পাট, রাস্তা-ঘাটে চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে চলাচল করছে। মোটকথা ওই অবৈধ ট্রাক্টরে ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারী মাসে নিহত হয়েছে তিনজন। বিকট শব্দে মাটি বোঝাই করে ধুলো উড়িয়ে চলছে এরা।
এভাবেই উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তাসহ উপজেলার প্রত্যেক সংযুক্ত সড়ক গুলোতেই দিন রাত চষে বেড়াচ্ছে অর্ধ শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর।
দাঁতভাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন- এ গাড়ি চলাচলের সময় আশপাশের এলাকায় কুয়াশার মতো ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষ। অতি দ্রুত মানুষের জীবন অতিষ্ঠকারী এসব যন্ত্রদানব প্রতিরোধ করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন,অবৈধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।