সাকিব আল হাসান, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের উত্তর খেদাইমারী গ্রামে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিরিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ।
কয়েকদিন ধরে এলাকার মাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তিনি কোনো সুরাহা বা বিচার পাচ্ছেন না। অবশেষে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি স্বামীর বাড়িতেই পালন করছেন অনশন।
জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার বড়চর গ্রামের শুক্কুর আলীর মেয়ে শিরিনা বেগম বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের উত্তর খেদাইমারী গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলীর সঙ্গে। ঢাকায় গার্মেন্টেসে কাজ করার সময় দু’জনের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় ২০১৩ সালে।
তাদের দাম্পত্য জীবনে মিম আক্তার নামের ৮ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুই মাস আগে গৃহবধূর স্বামী শুক্কুর আলী তার স্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে নিজ বাড়ি রৌমারীতে চলে আসেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গৃহবধূ শিরিনা বেগম স্বামীর এই আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বামীর খোঁজে ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসেন। পরে তার স্বামী বাড়িতেই রয়েছেন জানতে পেয়ে মেয়ে মৌসুমীকে নিয়ে স্বামী শুক্কুর আলীর বাড়িতে যান।
স্ত্রীর উপস্থিতি দেখে স্বামী শুক্কুর আলী এ সময় তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। মেয়েকেও অস্বীকার করেন। বিয়ে ও সন্তান অস্বীকার করায় গৃহবধূ তার মেয়েকে নিয়ে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে স্বামী শুক্কুর আলীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমাম দুলাল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার মেয়ে আমার কাছে বিচার চেয়েছে। তার স্বামী শুক্কুর আলীকে বিচারের তারিখ দিলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
শিরিনা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামী শুক্কুর আলীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। অথচ আমার স্বামী শুক্কুর আমাদের বিয়ে ও সন্তানকে অস্বীকার করছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, গৃহবধূ শিরিনার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।