৪০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল নোয়াখালীর ভাসানচর ঘুরে শিবিরে ফিরে এসেছে । সেখানের পরিবেশ বসবাসের উপযোগী কি না, তা দেখা শেষে মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের স্ব স্ব শরণার্থী শিবিরে ফিরছেন তারা।
পরে নিজ নিজ কমিউনিটির কাছে ভাসানচরে তৈরি করা আবাসন ব্যবস্থাপনাগুলো তুলে ধরবেন এবং অন্তত প্রতি ক্যাম্প থেকে কিছু কিছু রোহিঙ্গা পরিবার যাতে ভাসানচরে যেতে রাজি হয় সেটি বোঝানোর চেষ্টা চালাবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।সোমবার দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ভাসানচরে গরু, ছাগল, মুরগীর খামার ঘুরে দেখেছেন তারা। ফিরে এসে রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ভাসানচরের চারপাশের বাঁধে হেঁটে দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে দুই দিন ভাসানচরে ঘুরে দেখে মনে হয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের গড়ে তোলা অবকাঠামোগুলো মজবুত ও সুন্দর। এখানে পরিদর্শনে এসে এগুলো তাদের পছন্দ হয়েছে। মঙ্গলবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রানজিট ক্যাম্পে জড়ো হওয়া ৪০ রোহিঙ্গা নেতার সাথে ভাসানচরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।সরকার ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবির থেকে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গাকে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ওই দ্বীপে পাঠানোর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়। এজন্য রোহিঙ্গা নেতাদের একটি দলকে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় গত শনিবার টেকনাফ থেকে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়। প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম হয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছায়। এসময় তাদের সঙ্গে নৌবাহিনী, পুলিশসহ অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।