স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
রবিবার (৪ অক্টোবর) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত আরসা ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে আবারও দফায় দফাল হামলা, ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরো এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪)।
ডি-৪ ক্যাম্পের হেড মাঝি মোঃ ওসমান জানান, ক্যাম্প ২ ওয়েস্ট ডি-ব্লকে রবিবার রাতে ৪-৫শ’ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী যুবক দা-লাঠি নিয়ে ক্যাম্পের একশ’ ঝুঁপড়ি ঘর ও ৫০টি দোকান ভাংচুর করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা, ভাংচুর, গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আরসা-মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে দু’হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু ক্যাম্প ছাড়ছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, কুতুপালং ক্যাম্পের ডি-৪, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, ক্যাম্পে রবিবার রাত ১টা থেকে ভোর পর্যন্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে আবারো দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়জিত ১৪ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান, নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনাগুলো ঘটছে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সন্জুর মোরশেদের সরকারিভাবে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।