কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঈদ উদযাপন হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে। টেকনাফ ও উখিয়ায় প্রায় ৩ হাজার অস্থায়ী মসজিদে একযোগে আদায় করা হয় ঈদের জামাত। নামাজ শেষে দ্রুত দেশে ফিরতে রোহিঙ্গারা দোয়া ও মোনাজাত করেন। একইসঙ্গে তারা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। সময় অনেকটা পেরিয়ে যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ফলে সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে বাংলাদেশিদের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করে তারাও। উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪ টি ব্লকে সকাল ৮টায় একযোগে আদায় ঈদের জামায়াত। নামাজ শেষে মোনাজাতে দ্রুত স্বদেশে ফেরত, নির্যাতনের বিচার ও বাংলাদেশকে প্রতি শোকরিয়া জানায় রোহিঙ্গারা।
এরপর শুরু হয় প্রতিটি ব্লকে ব্লকে পশু কোরবানি ও মাংসের বন্টন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে পশু কোরবানি করতে পারায় দারুণ খুশি রোহিঙ্গারা।
এদিকে ঈদে সবচে বেশি আনন্দ করতে দেখা গেছে রোহিঙ্গা শিশুদের। প্রতিটি শিবিরে শিশুরা নাগরদোলা, খাওয়া-দাওয়া ও মেলাতে মেতে ওঠে সারাদিন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, সরকারি নানা পদক্ষেপের কারণে উৎসব মুখর পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা।
প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কোরবানির জন্য ব্যবস্থা করা হয় প্রায় ৩ হাজার গরু ও ১৫’শ ছাগল।