ডিবিএন ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২ জন নারী, ২ জন শিশু ও ৩ জন বৃদ্ধ রয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। আর অগ্নিকান্ডের সময় ছুটোছুটি করার সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২ হাজার এর বেশী মানুষ। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর। এছাড়াও পুড়ে গেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও’র অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।
গতকাল সোমবার (২২) মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প ৮-ই, ডব্লিউ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে আগুন মুহূর্তের মধ্যে ক্যাম্প ৯-এ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময় ১০নং ও ১১নং ক্যাম্পের অধিকাংশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশন এবং সেনাবাহিনীর ফায়ার ইউনিটসহ পাঁচ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে অনেক শিশু হারিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা নেতা মো. রফিক বলেন, সোমবার বিকেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমানে আগুনে ঘরহারা রোহিঙ্গাদের অনেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকটবর্তী রোহিঙ্গা শিবিরে। অনেকে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে। আর অনেকে অগ্নিকান্ডের সময় হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজছেন দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে।
এদিকে আগুনের সূত্রপাতের কারণ নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা।