মিয়ানমারের রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় রোহিঙ্গারা ফিরে যাচ্ছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ সমস্যার অনিশ্চয়তার বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুধাবন করতে হবে। প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এ সংকটের সমাধান সম্ভব, যা মিয়ানমারকেই করতে হবে।’
বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশগুলোর কাছে জাতিসংঘই আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক; প্রতি বছরের মতো এবারো সেপ্টেম্বরে বিশ্বের বহুপাক্ষিক ফোরামের কর্ণধার হিসেবে বিবেচিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন চলছে।
২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এবারের সাধারণ বিতর্ক পর্বে, অন্যান্য সরকার প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন শুক্রবার নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায়। এ নিয়ে ১৬ বারের মতো বিশ্বসভায় বাংলা ভাষায় তিনি তুলে ধরলেন উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশের গল্প।
টানা ২২ মিনিটের বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন বার্তাসহ নানা ইস্যু উঠে এলেও ঘুরেফিরেই প্রাধান্য পেয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। শেখ হাসিনা এ সমস্যা সমাধানে আবারও উত্থাপন করলেন ৪ দফা প্রস্তাব।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নেতিবাচক আচরণে রোহিঙ্গারা ফিরছে না রাখাইনে। সমস্যাটি তাদের; সমাধানের দায়ও তাদেরই নিতে হবে।’
রোহিঙ্গারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকির অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে, এমন শঙ্কা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বিশ্ববাসীকে বিষয়গুলো অনুধাবন করতে হবে।’
এছাড়াও আনুষ্ঠানিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিক্ষা স্বাস্থ্য নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতেও বাংলাদেশের সফলতার সূচকগুলো তুলে ধরেন সাধারণ অধিবেশনে।