বিভিন্ন মিষ্টান্নেই কি সবসময় কিসমিস ব্যবহার করা হয়? মোটেও না, হরেক পদে ব্যবহারের পাশাপাশি আস্ত কিসমিসও খেয়ে থাকেন অনেকেই! এর মিষ্টি স্বাদ ছোট বড় সবাইকে মুগ্ধ করে! শুধু স্বাদ বাড়াতেই নয় বরং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতেও ছোট্ট কিসমিস কতটা উপকারী, জানেন কি?
তবে শুকনো কিসমিস খাওয়ার চেয়ে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার মেলে। কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা। পরের দিন ভোরে সেটা খেতে হবে খালি পেটে। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
তাছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোনো ক্ষতিও করে না। এমনকি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও এটি তা বশে রাখে। জেনে নিন ভেজানো কিসমিস ও এর পানি পান করলে শরীর কতটা লাভবান হয়-
১. ভেজানো কিসমিস খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়।
২. রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ে।
৩. কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৪. এমনকি প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মেলে।
৫. কিসমিস হার্ট ভালো রাখে।
৬. নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল।
৭. কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদন রয়েছে।
৮. এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ। যা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
৯. কিসমিসে আরো আছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
১০. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিসমিস বেশ উপকারী একটি দাওয়াই।
১১. রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিসমিসই যথেষ্ট। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
১২. সুস্থ থাকতে ভালো হজমশক্তি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেজা কিসমিসের বিকল্প নেই। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা যে কোনো রোগের সঙ্গে লড়াই করে।
১৪. শরীরে থাকা ক্ষতিকর পদার্থকে দূর করে কিসমিস। এতে শরীর বিষমুক্ত হয়। সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি সেই পানিও পান করতে পারেন।
১৫. কিসমিস খাওয়া উপকারী হলেও এটি বেশি পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। কিসমিসে ফ্রুকটোজের পাশাপাশি গ্লুকোজও রয়েছে। যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত খেলে শ্বাসকষ্ট, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।