চট্টগ্রামে শত কোটি টাকা মূল্যের জায়গার উপর যুবলীগ নেতা বাবরের গড়ে তোলা বিশাল সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিয়েও শান্তিতে নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দুবাই পালিয়ে থাকা বাবরের অনুসারীদের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে প্রশিক্ষণ একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্দর এলাকায় রেলওয়ের এই প্রশিক্ষণ একাডেমির অন্তত ৫০ একর জায়গা দখল করে একাধিক রিসোর্ট এবং কৃষি খামার গড়ে তুলেছিলেন বাবর। কিন্তু উচ্ছেদের পরও রয়ে গেছে তার অনুসারীদের অবস্থান।
রেলওয়ের প্রধান ভূমি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা বলেন, ‘জলাশয় বাদে বাকি যে জায়গাটুকু ছিল দখলদারদের কাছে তা ২৮ অক্টোবর গুঁড়িয়ে দিয়ে সাড়ে ৩ একর বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গা উদ্ধার করেছি।’
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, নগরীর বন্দর এলাকায় রেলওয়ে প্রশিক্ষণ একাডেমীর ৬৮ একর জায়গার মধ্যে ২০১৫ সালে প্রথম পর্যায়ে ২৫ একরের পুকুর এবং পরবর্তীতে আরো সাড়ে তিন একর জায়গা লিজ নেন বিএনপিপন্থী ঠিকাদার মোহাম্মদ শাহ আলম। কিন্তু পরবর্তীতে শাহ আলম ব্যবসায়িক পার্টনার হিসাবে যুক্ত করেন যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে। আর ব্যবসায়িক অংশীদারীত্ব পাওয়ার পর বাবর ওই একাডেমীসহ আশপাশে আরো অন্তত ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন। শুধুমাত্র একাডেমীর প্রশাসনিক ভবন ছাড়া পুরো এলাকা ছিলো বাবরের দখলে।
ঠিকাদারের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘কি জন্যে উনারা এটা ভেঙ্গে ফেলেছে তা উনারাই বলতে পারবে।’
এছাড়া রেলওয়ের ঠিকাদার মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘লিজ বাদে অন্য কোন জায়গা আমরা দখল করিনি।’
রেলওয়ে প্রশিক্ষণ একাডেমীর রেক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যদিও শোনা যায় উনি দুবাইয়ে আছেন। তারপরেও তার বাহিনীর কর্তৃক হামলার ভয়ে আছি আমরা।’
চট্টগ্রাম যুবলীগ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ওমর ফারুক এবং ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে পরিচিত ছিলেন উপ অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার আগেই দুবাই পালিয়ে যান তিনি।